নারী-পুরুষের সম্মিলিত অস্ত্রধারী একটি দল জমি দখলের জন্য হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রসহ বেশ কয়েকজনকে। গত রোববার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
হামলায় আহত কলেজ ছাত্রের নাম মারুফ হাসান (১৯)। সে একই গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রশিদের ছেলে। এছাড়াও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই একই গ্রামের শহিদুল, সিরাজুলদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আব্দুর রশিদের। নিকটাত্মীয় হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্ততায় বেশ কয়েকবার বিষয়টি মীমাংসা হলেও জমির দখল পেতে মরিয়া ছিলো অভিযুক্তরা৷ রোববার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শহিদুল, তার স্ত্রী হেনা, সিরাজুল ও তার স্ত্রী হেলেনাসহ অন্তত ১৫ জনের একটি দখল জমি দখলে আসে৷ তখন বাঁধা দিলে আব্দুর রশিদের ছেলে মারুফ হাসানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে আব্দুর রশিদের বড় ছেলে আব্দুল হালিম৷ গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফ এখন ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ জানান, চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে দেন দরবারে নেওয়া সিদ্ধান্ত অমান্য করে শহিদুল ও তার পক্ষের লোকজন জোড়পূর্বক আমাদের জমি দখলে আসে। বাঁধা দেওয়ায় আমার ছেলেসহ আরও কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেছে। নারীরা এসে হামলা চালানোতে আমরা প্রতিরোধ করার সুযোগও পাইনি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পরিবার নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যেকোনো সময় আবার আমাদের ওপর হামলা হতে পারে।
তবে হামলায় অভিযুক্ত কারও সাথেই চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারসহ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।